পাকিস্তানের দেয়া ১৭৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ থামে মাত্র ১০৪ রানে। ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। ইনিংস ওপেন করতে নামা তানজিদ হাসান রান করতে ব্যর্থ হন। তিন নম্বরে নেমে অধিনায়ক লিটন দাস সংগ্রহ করেন মাত্র ৮ রান। এরপর একে একে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ (৯), জাকের আলী, মেহেদী হাসান ও শামীম হোসেন, যাদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার নাঈম শেখ ১৭ বলে করেন মাত্র ১০ রান, দলীয় ৪১ রানের মাথায় তিনিও বিদায় নেন।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সালমান মির্জা। তিনি চার ওভার বল করে মাত্র ১৯ রানে নেন তিন উইকেট। ফাহিম আশরাফের শিকার হয় দুটি উইকেট। আগা সালমানের নেতৃত্বে সাত বোলারই ছিলেন কার্যকর; কেবল সাইম আইয়ুব উইকেটশূন্য ছিলেন, তবে তিনি এক ওভারে দেন মাত্র দুই রান।
বাংলাদেশের ইনিংসে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম। সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করে হারের ব্যবধান কিছুটা কমান। শরিফুল ১৬.৪ ওভারে আউট হলে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত হয়। তাকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
এর আগে টস জিতে পাঁচটি পরিবর্তন এনে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচের রঙ পাল্টে দেয় পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম ও শেষ অংশে ছিল আগুনঝরা ব্যাটিং, যদিও মাঝের সময়টায় বাংলাদেশের বোলাররা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনেন।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে পাকিস্তানের হয়ে ৪১ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ফারহান। তার সঙ্গী সাইম আইয়ুব করেন ২১ রান। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ হারিস ছিলেন ব্যর্থ। তবে হাসান নওয়াজ ঝড় তোলেন ১৭ বলে ৩৩ রান করে। এই জুটিতেই পাকিস্তান তিন অঙ্ক ছুঁয়ে যায় এবং স্কোর এগোয় দেড়শর কাছাকাছি।
শেষ দিকে অধিনায়ক আগা সালমান ও মোহাম্মদ নওয়াজ ইনিংসে গতি বাড়ান। নওয়াজ ১৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ রান করে ফিরলেও সালমান অপরাজিত থাকেন ১২ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন তাসকিন আহমেদ, যিনি তিনটি উইকেট নেন। নাসুম আহমেদ দুইটি এবং সাইফউদ্দিন ও শরিফুল একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও ৮ রানে জয় তুলে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা। তবে শেষ ম্যাচে ধবলধোলাইয়ের ইতিহাস গড়ার দিনে দেখা মেলে এক হতাশাজনক পরাজয়ের।