প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২৫ , ৬:০৭:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
আ জা ডেক্স:
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়।
বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা থেকে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে ১৪৪ ধারা এবং পরে কারফিউ জারি করা হয়।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে ফেসবুক পোস্টে জানান, “গোপালগঞ্জে কারফিউ কার্যকর করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় কারণে কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র ও যুব ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি নির্দেশনা দিচ্ছেন।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে দুপুর পৌনে ২টার দিকে, যখন ২০০-৩০০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে আক্রমণ চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগপন্থী সমর্থক। তারা মঞ্চ ভাঙচুর করে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং এনসিপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশও তখন নিরাপদে সরে যায়। পরে পুলিশ ও এনসিপি নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে হামলাকারীদের প্রতিহত করে এবং সমাবেশ পুনরায় শুরু হয়। তবে সমাবেশ শেষে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেন, “আজকের সহিংসতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তরুণদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাকে বলপ্রয়োগে দমন করা হয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী ও এনসিপির কর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা জানানো হয় এবং পদযাত্রায় অংশ নেওয়া সাহসী নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ নামে মাসব্যাপী কর্মসূচি চালাচ্ছে এনসিপি, যার অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জে কর্মসূচি ছিল দলের।