অপরাধ

সিদ্ধিরগঞ্জে বকেয়া ঘরভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে ভাড়াটিয়া বাড়িওয়ালার মধ্যে মারামারি,প্রাণ গেল বাড়িওয়ালার

  প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২৫ , ৭:৩৪:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

সিদ্ধিরগঞ্জ ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইমাদির নতুনমহল্লায় তিন মাসের ঘর ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকের মধ্য মারামারিতে মোঃ আবুল বাসার (৭০) নামে এক বাড়িওয়ালার প্রাণ প্রদীপ নিভেগেছে৷ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম জানায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাড়াটিয়ার পরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. তছর উদ্দিনের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০), সোহাগের স্ত্রী আলেয়া বেগম (২৫) এবং সোহাগের মা ফাতেমা বেগম (৪৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে ভুক্তভোগীর বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন আটক অভিযুক্তরা। গত ৩ মাস ধরে তারা ঘর ভাড়া পরিশোধ করেননি এতে বাড়ির মালিকমোঃ আবুল বাসার ভাড়াটিয়া সোহাগ হোসেনকে বাড়ি ছাড়ার কথা জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো। সবশেষ সোমবার রাতে বাড়ির মালিক সোহাগ হেসেনের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরবর্তীতে রাতে সোহাগ পরিবার নিয়ে বাসায় ফিরে ঘরের দরজায় তালা আটকানো দেখতে পান। তখন বাড়িওয়ালার ছেলে নাফিজকে (৩৫) গেট খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন সোহাগ৷ তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে
তালা খুলে দেয় নাফিজ ৷ এরপরও উভয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এসময় তাৎক্ষণিক নাফিজের ছোট ভাই বাধন (৩০) ঘটনাস্থলে এসে বাকবিতণ্ডায় যুক্ত হন। দুই ভাই মিলে ভাড়াটিয়া সোহাগের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান। ঝগড়া ও মারামারির সময় বাড়িওয়ালা আবুল বাসার ও ভাড়াটিয়া সোহাগের স্ত্রী ও তার মা এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। ঝগড়া থামাতে গিয়ে ধস্তাধস্তি ও মারামারির একপর্যায়ে আবুল বাশারকে সোহাগ মারধর করে এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে সে গুরুতর আঘাত পান । তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বলেন, ৩ মাসের ঘর ভাড়া পাওনা নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। তখন নিহত আবুল বাশারকে ভাড়াটিয়ারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। তিনি আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে খানপুর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। আমরা ভাড়াটিয়াদের গ্রেপ্তার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি৷

আরও খবর

Sponsered content