
মাহবুবুর রহমান ভূইয়া,ডেমরা ঢাকা :
রাজধানী ডেমরায় আজাদ হোসেন নামে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় ডেমরা- যাত্রাবাড়ী সড়কের বাঁশেরপুল এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বাঁশেরপুর আমিনবাগ এলাকার সুলতানা ইয়াসমিন আক্তার রুমি নামে এক নারী জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখসহ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় মর্মে প্রবাসী আজাদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভসহ ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আর বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা বানোয়াট বলে মানববন্ধনে জানান এলাকাবাসী।
তারা আরো বলেন, অবিলম্বে প্রবাসী আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও হয়রানি মূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পূর্ণ তদন্ত স্বরূপ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান এলাকাবাসী।
পাশাপাশি সুলতানা ইয়াসমিন আক্তার রুমিকে হয়নারিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায়েরকৃত অভিযোগ তুলে নেয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।
অপরদিকে তদন্ত সাপেক্ষে সুলতানা ইয়াসমিন আক্তার রুমির আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি জোড় দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আজাদ হোসেন বলেন, একটি কুচক্রী মহল সুলতানা ইয়াসমিন এর মাধ্যমে আমার জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু ওই কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী আমাকে সহযোগিতা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুলতানা ইয়াসমিন মোবাইল ফোনে বলেন, মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। গত ২০১২ সাল থেকে আমি আমিনবাগ এলাকায় আমার দুই মেয়ে নিয়ে বসতবাড়িতে বসবাস করছি। এত বছরে কোনো সমস্যা হয়নি। আর আজাদ গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করে বিএনপির দলীয় শক্তির বলে আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। সবশেষে আমার বাড়ির গেটের সামনে আমার তিন ফুট জায়গার উপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে। আমি মহিলা বলে আমার সঙ্গে বলে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার নবনিযুক্ত ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি থানায় যোগদানের পর ঘটনাটি জানতে পেরে তদন্ত শুরু করেছি। এদিকে আজাদ হোসেন সুলতানা ইয়াসমিনের বাড়ির সামনে একটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে। এতে ওই নারী ও তার দুই মেয়ের বাসায় প্রবেশ করার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই ঘটনায় দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় বসে প্রকৃত বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।