প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২৫ , ৫:০৬:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল:
বরিশালের কাশিপুরে পুলিশের উপস্থিতিতেই বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ও বোনও গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার কাশিপুর ইউনিয়নের বিল্ববাড়ী গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ব্যক্তি হলেন লিটু সিকদার (৪২), যিনি বিল্ববাড়ী গ্রামের নজির সিকদারের ছেলে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা হিসেবে পরিচিত। আহতদের মধ্যে রয়েছেন তার ছোট ভাই সুমন সিকদার (৩৫) ও বোন মুন্নি বেগম (৩৮)। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, হামলাকারীরা লিটুকে কুপিয়ে তার ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। শরীরের আরও কয়েকটি স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তার ভাই ও বোনকেও একইভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আহত মুন্নি বেগম জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন গাজী তার স্বামী। কিন্তু সম্প্রতি জাকির হোসেন গাজী গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছে। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ হয়। সম্প্রতি এ নিয়ে উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। মামলার আসামি হিসেবে বৃহস্পতিবার আদালত থেকে জামিন নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাড়িতে আসেন লিটু সিকদার। তখন পুলিশের সামনে একদল লোক তাদের ওপর হামলা করে ঘরে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে। এ ছাড়া ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তিনি।
মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির সিকদার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই উভয় পরিবারের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলার বিষয়েও পুলিশ অবগত ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ওই হামলার ঘটনা ঘটে, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার বিষয়ে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. রিয়াজ হোসেন (পিপিএম) বলেন, পারিবারিক বিরোধ থেকেই এই হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত জাকির হোসেনসহ হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ৫-৭ জনকে হেফাজতে নিয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।