এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একপর্যায়ে ধাওয়া দেয় কারখানার মালিকপক্ষ। এতে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামানও ঘটনাস্থলে আসেন। নীট কনসার্ন গ্রুপের লোকজনের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনায় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান । এসময় তারা পুলিশের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।
এবিষয়ে নীট কনসার্নের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা জানান, যে জমির কথা বলা হচ্ছে আমি রেলওয়ে থেকে সেই জমি লিজে নিয়েছি। যার প্রতিমাসে সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা খাজনা দিই। যারা আন্দোলন করছে তারা আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা না বলেই বাউন্ডারি ভেঙেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা দুপুরে এসেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। ছাত্রদের ওই নেতা বলেছে তাঁদের জমি নাকি নীট কনসার্ন দখলে রেখেছেন। অপরদিকে কোম্পানিটি বলছে তারা রেলওয়ে থেকে লিজে নিয়েছেন। এখন জমি পরিমাপ না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। উভয়ের পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ‘দখলমুক্ত নারায়ণগঞ্জ চাই, ভূমিদস্যুদের ঠাই নাই’ এমন একটি ব্যানারে নীট কনসার্ন গ্রুপের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ তুলে কারখানাটির সামনে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে নিট কনসার্ন গ্রুপের সামনে একটি জমি দখলের অভিযোগ তুলে টিনের বেড়া খুলে ফেলে দেয় তারা।