প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২৫ , ৮:০০:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্ত্বরের গণহত্যা ও জুলাই আহ্বান এগুলোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্র-জনতা। আজ মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের মাঠে ‘জাগ্রত জুলাই’ ও ‘জুলাই ঐক্য’ আয়োজনে এক প্রতীকী ফাঁসিকাণ্ড অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০:৩৬ মিনিটে সমাবেশে শেখ হাসিনার বিচারে ‘প্রতীকী ফাঁসি’ কার্যকরের মাধ্যমে তাদের প্রতিবাদ ব্যক্ত করা হয়। এই সমাবেশে সামরিক-সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। উপস্থিত ছিলেন: সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেনেন্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এবি জুবায়ের, সাংবাদিক ও সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী, জাগ্রত জুলাইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি সিম্মি হামিদিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও পেশাজীবীরা।
ব্যবস্থা গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন:
অ্যাডভোকেট তানজিনা ফেরদাউস, যিনি রায় ঘোষণা করেন
রায়হান মাদ্রাজী, যিনি প্রেশার ও হার্টবিট পরীক্ষা করেন
আলিফ জাওফি, যারা ‘জল্লাদের’ ভূমিকায় ছিলেন
মোস্তফা হোসাইন, যিনি কালেমা পাঠ করান
আজিজ সাইফুল্লাহ, যিনি পুরো দৃশ্যায়ন পরিচালনা করেন
কবি মুন্সি বোরহান মাহমুদ, যিনি অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন ও ছিলেন জাগ্রত জুলাই’র মুখপাত্র ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক
বক্তারা দাবি করেন যে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই ‘প্রতীকী ফাঁসি’ কেবল শক্তিশালী একটি প্রতিবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশে আইনি কাঠামো এতটাই জটিল যে, সাজা কার্যকর হতে বহু সময় লাগে। তাই তারা সরকারের প্রতি শক্তিশালী বার্তা দেন: আগামী এক বছরের মধ্যে ৩৬ জুলাই, অর্থাৎ আগামী গণঅভ্যুত্থান দিবসের মধ্যে সমস্ত বিচারের কার্যক্রম সম্পন্ন করে শেখ হাসিনা ও অন্যান্য অভিযুক্ত গণহত্যাকারীদের ফাঁসিকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।
নতুন প্রজন্মের তরুণরা বলছে—এত দিনের নিপীড়ন আর অন্যায় কোনো ক্ষমতাবাদের কাছে মাথানত করবে না। সময় এসেছে গণতান্ত্রিক ও ন্যায্য রাজ্যে প্রতিশ্রুতি পূরণের।