জাতীয়

শিশুকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে শত শত মানুষের মনের কোঠায় শিক্ষকগণ থাকতে পারেন…প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

  প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২৫ , ১:৪৬:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, জনসংখ্যার দিক থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বড় মন্ত্রণালয়। শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার ভিতটি এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো খুবই ভালো চলে। এর বৈশিষ্ট্য হলো – সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একজন ভালো নেতা। তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন। শিশুকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে শত শত মানুষের মনের কোঠায় শিক্ষকগণ থাকতে পারেন।
উপদেষ্টা আজ নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত জেলার প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিট কর্মকর্তাগণের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান, পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ সানাউল্লাহ, নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোহাম্মদ গোলাম নবী।
আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক, ইন্সট্রাক্টরসহ
সংশ্লিষ্টগণ।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকে একজন শিশু নিজের ভাষা ভালভাবে না বুঝলে অন্য ভাষা আয়ত্ব করতে পারবে না। যদি নিজের ভাষা পড়তে শিখে তাহলে সবকিছু পড়তে পারবে। শিশুদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। নৈতিকতা ছাড়া অধিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও লাভ হবেনা। শিশুদের কো-কারিকুলার কার্যক্রম খেলাধুলা, চিত্রাংকন, আবৃত্তি, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত করতে হবে। কো-কারিকুলার কার্যক্রম শিশুর প্রতিভা বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে উপদেষ্টা নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “রুম টু রিড’ এর সাক্ষরতা কার্যক্রম পরিদর্শন, উপজেলা প্রশাসন ও বিদ্যালয় কমিটি আয়োজিত ‘পড়া-লেখা উৎসব’ ও অভিভাবক সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তৃতা এবং ‘পড়া-লেখা উৎসবে’ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বড়াইগ্রাম স্কুলে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য শিশুরা যাতে সাবলীলভাবে বলতে পারে, পড়তে পারে এবং লিখতে পারে। সে বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছি। শিশুরা যাতে মুখস্থ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা যাতে ভালোভাবে যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন সমস্যা হলে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করতে হবে। লেখাপড়ার উদ্দেশ্য হলো ভালোভাবে জীবন যাপন করা। লেখাপড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর সাথে স্বাস্থ্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খেলাধুলা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে।খেলাধুলা শুধু শরীর ভালো রাখে না, পরস্পরকে যৌথভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। শুধু ভালো রেজাল্ট করলে হবে না, অন্যান্য গুণাবলী থাকতে হবে। পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। সবার সাথে মেশার ক্ষমতা থাকতে হবে। এতে করে তার মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষক অভিভাবক মিলে যত্ন নিতে হবে। সারা জীবন সাফার করার চেয়ে প্রাথমিকই শিশুদেরকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content