সারাদেশ

লালমোহনে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৫:২৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

আকবর জুয়েল, লালমোহন ভোলা:
ভোলার লালমোহন উপজেলায় জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সির হাওলা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার বাসিন্দা ও বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ করে ওই জমির মালিক খোকন হাওলাদার জানান, বর্তমান বিএস খতিয়ানের ৩১৫ নম্বর ডিপিতে আমাদের মোট জমি ১৮. ৬২ শতাংশ। এরমধ্যে আমি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক ২. ৬২ শতাংশের এবং ক্রয়সূত্রে ইউসুফ মঞ্জু নামে আরেকজন ১৬ শতাংশের মালিক। আমরা দীর্ঘদিন এই জমি ভোগ দখলে রয়েছি। তবে ওই জমির পাশের বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিন কয়েকবার জমির মালিকানা দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তিনি মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করলেও ওইসব মামলায় আমাদের পক্ষেই রায় দেন আদালতের বিচারক।

এরপর থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যার যার মতো ওই জমিতে বসবাস করছি। জমির সব দলিল, কাগজপত্র এবং নামজারি আমাদের নামেই রয়েছে। অন্যদিকে জসিম উদ্দিনের বিএস খতিয়ানের ৩০৯ নম্বর ডিপিতে ১৬.৭৫ জমি রয়েছে। ওই জমিও তার ভোগ দখলেই রয়েছে।
তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে হঠাৎ করেই জসিম আমাদের ওই জমিতে জোরপূর্বক খুঁটি পুতে এবং টিন দিয়ে বেড়া দেওয়া শুরু করেন। এটি দেখে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা লালমোহন থানায় জানাই। এরপর থানা থেকে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।

পুলিশ যাওয়ার পর তারা আবার দখলের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করে এবং পুরো জমিতে টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে ফেলেন। এরপর আবার পুলিশকে জানালে পুলিশ পূনরায় এসে ওই জমিতে কোনো ধরনের কাজ না করতে জসিমের লোকজনকে নির্দেশ দিয়ে যান। তবে তারা এখন ওই জমিতে ঘর উত্তোলনের জন্য তাদের বাড়িতে মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করছেন। যেকোনো সময় তারা আবারো আমাদের ওই জমি দখলে নিতে ঘর উত্তোলন করবেন বলে আমাদের আশঙ্কা রয়েছে।
মুঠোফোনে অভিযোগের ব্যাপারে মো. জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই জমিগুলো আমারই। তারা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। শনিবার আমার জমিতে মিস্ত্রি দিয়ে টিনের বাউন্ডারি দেওয়ার কাজ করেছি। তবে আদালতের রায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদোত্তর দেননি।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, জোরপূর্বক জমি দখলের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি সেখানে কাজ চলে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content