অপরাধ

রূপগঞ্জে বয়োবৃদ্ধর চিকিৎসার ব্যয় বহন নিয়ে হাসপাতালে দু সংসারের লোকজনের মারামারি, সত্য গোপন রেখে সাংবাদিক রিয়াজের মিথ্যাচার

  প্রতিনিধি ১২ মে ২০২৫ , ৫:৫৬:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ

রূপগঞ্জ থানাধীন গুতিয়াবো এলাকার বয়োবৃদ্ধ মোঃ অছিউদ্দিন মোল্লা। তাহার বয়স প্রায় ৯৫ বছর। গত কিছুদিন আগে তাহার কতক জমি ও দুপক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানদের জমি প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকায় বিক্রি করিয়া সকলের অংশ হিসেবে ভাগ করে দেন। বয়োবৃদ্ধ অছিউদ্দিন মোল্লা সকলের প্রাপ্প বুঝাইয়া দিয়া নিজের হাতে ৫০ লক্ষ টাকা গচ্ছিত রাখেন। সেই টাকা নিয়ে তিনি তার তৃতীয় স্ত্রী হাজেরা খাতুন(৪০), পুত্র মোঃ সাহেল ও কণ্যা শান্তা(৩২) সংসারে গিয়ে বসবাস করেন। হঠাৎ করে গত কিছুদিন আগে বয়োবৃদ্ধ অছিউদ্দিন মোল্লা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্ত্রী হাজেরা খাতুন চিকিৎসার জন্য গাজীপুর মঠবাড়ী ডিভাইন মার্সি হাসপাতালে ভর্তি করান। কর্মরত চিকিৎসক অছিউদ্দিন মোল্লার শারীরিক অবস্থা ভালো না বিধায় ICU তে রাখেন। এ খবর পেয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারের সন্তান কাগজ মোল্লা, হ্যাপি,শেফালী, লাভলী ও শিউলি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তাদের পিতার পাশে কেউ নেই। খরব নিয়ে জানতে পারেন হাজেরা বেগম গতরাতে তাকে একা রেখেই বাসায় চলে গেছেন। এ খবর জানার কিছুক্ষণ পর হাজেরা বেগম ও তার বোন রাজিয়া খাতুন সহ শান্তা হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়। হাজেরা খাতুনকে দেখে হ্যাপি জানতে চায় তার পিতাকে একা রেখে চলে যাবার কারন কি। প্রতিউত্তরে হাজেরা খাতুন ও তারবোন এবং শান্তা রাগান্বিত হয়ে উঠে। কোন উত্তর তা দিয়ে বলে তোদের বাবার কাছে ১০ লক্ষ টাকা আছে। সেটাকা কোথায় আছে তোর ভাই কাজল মোল্লা জানে। কাজলকে বল সে টাকা নিয়ে আসতে। যদি না নিয়ে আসে তোদের বাবা মরে গেলেও আমরা একটি টাকাও চিকিৎসার জন্য দিবো না। এ কথা শুনে কাজল মোল্লা বলে বাবা ১০ লক্ষ টাকা একজন ব্যবসায়িকে দিয়েছে। সেই ব্যবসায়ী বাবাকে ব্যবসার অংশ হিসেবে যেটাকা দেয় বাবা তার প্রয়োজনে খরচ করে। বাবা সুস্থ হয়ে উঠলে তারপর বিষয়টি নিয়ে কি করবেন তা বলতে পারবো এখন এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই এবং বাবার টাকার বিষয়টি শফিউদ্দিন মোল্লা কাকা জানেন। এ কথা বার্তা চলা অবস্থায় দুপক্ষের পরিবারের মাঝে বাকবিতন্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে হাজেরা খাতুন ও তার বোন রাজিয়া এবং শান্তা তারা সকলে মিলে হ্যাপির উপর আক্রোশ হয়ে এলোপাতাড়ি মারধোর শুরু করে হাসপাতালে অন্যান্য লোকজনের সম্মুখে। তাদের আঘাতে হ্যাপি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যান এবং হ্যাপিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মারামারির এ খবর পেয়ে হ্যাপির স্বামী ফারুক মোল্লা (৫২) হাসপাতালে এসে সব কথা শুনে শান্তার স্বামী সাংবাদিক রিয়াজের সাথে সাক্ষাৎ এ সব ঘটনা বলতে এবং সুষ্ঠু সমাধানের জন্য রিয়াজের অফিসে যান। ওখানে গিয়ে দেখেন হাজেরা বেগম, রাজিয়া বেগম, শান্তা সবাই অফিসে বসে আছে। ফারুক কারো সাথে কোন কথা না বলে ঘটনার বিষয় সাংবাদিক রিয়াজেকে জানান। সুষ্ঠু সমাধানের পরিবর্তে সাংবাদিক রিয়াজ উল্টো ফারুক মোল্লাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও ক্ষমতার দাপট দেখান। সাংবাদিক রিয়াজ ও ফারুক মোল্লার সাথে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ে উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতি শুরু করে দেন। হাতাহাতির একপর্যায়ে উভয় পক্ষ আঘাতপ্রাপ্ত হলে স্হানীয় লোকজন এসে দুজনকে সড়িয়ে নিয়ে যান।
ফারুক মোল্লা ঘটনার বিষয়ে তাদের পারিবারিক লোকজন শফিউদ্দিন মোল্লা ও মোশাররফ মোল্লা সহ কয়েকজনকে জানালে তারা সবাই বসে পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করবেন বলে আস্বস্ত করেন। কিন্তু পারিবারিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি গোপন রেখে সাংবাদিক রিয়াজ মিথ্যাচার করে সাংবাদিক সমাজের কাছে সাংবাদিক রিয়াজ তার মনগড়া মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করে চলছে বলে এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে অছিউদ্দিন মোল্লা এর দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে।

ফারুক মোল্লা বলেন, সাংবাদিক হলো সৎ ও ন্যায়ের প্রতীক। স্বার্থ ও, লোভ লালসার উর্ধে। কিন্তু সাংবাদিকই যদি স্বার্থের কারণে সাধারণ মানুষকে সাংবাদিকতার ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করতে চায় তাহলে বিচার পাবো কার কাছে। আমরা সাংবাদিক পেশাকে একটি মহৎ ও ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে জানি। তাই সাংবাদিক রিয়াজ যে সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তা অতন্ত্য দুঃখজনক। আমি সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই আপনারা ঘটনাস্থলে এসে সংবাদের সত্যতা যাচাই করুন এবং প্রকৃত ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন বলে দাবি জানাই।

আরও খবর

Sponsered content