সারাদেশ

রাজশাহীতে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  প্রতিনিধি ২৫ জুলাই ২০২৫ , ৫:১১:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবাদক রাজশাহী:

রাজশাহীতে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক আবাসন ব্যবসায়ী। গত বুধবার রাতে তিনি বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোজাদ্দেদ জামানী সুমন এবং রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক লিমনকে। এজাহারে আরও ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান ‘গ্রিন প্লাজা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক। তবে তার বিরুদ্ধেও এর আগে বিভিন্ন সময় ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার রেণীর ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে থাকতেন বলেও জানা গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুবদলের সাবেক নেতা মোজাদ্দেদ জামানী সুমন বলেন, “আমিনুল ইসলাম নামে আমার এক আত্মীয় মোস্তাফিজুরের কাছে ২৭ লাখ টাকা পান। ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা বলে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা বোয়ালিয়া থানায় বসে সমঝোতা করে দিয়েছি। পাওনা ২৭ লাখ টাকা কেটে মোট ৪০ লাখ টাকায় ফ্ল্যাটটি আমাদের দেওয়ার কথা। এখন শুনছি মামলা করেছে। মোস্তাফিজুর প্রথম শ্রেণির একজন প্রতারক। পাওনা ২৭ লাখ টাকা ফেরত না দেওয়ার উপায় বের করতেই এমন মামলা করেছে সে। এ ছাড়া সামনে আমাদের দলীয় সম্মেলন; কমিটি হবে। সে জন্য কিছু লোকের ষড়যন্ত্রও আছে।

ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমন অভিযোগের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন। তিনি বলেন, “মোস্তাফিজুর রহমান স্বৈরাচারের দোসর। সামনে আমাদের কমিটি। এ ধরনের অভিযোগ করে আমাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে সে।

মামলার বিষয়ে জানতে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহমেদ জানান, মামলাটি থানায় গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এজাহারে ৩৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content