আকবর জুয়েল, লালমোহন, ভোলা:
বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী
মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম তজুমদ্দিন উপজেলায় দলের কর্মীসভায় স্থানীয় চাঁদাবাজ ও চরে লুটপাটকারীদের সতর্ক করেছেন। বলেছেন, তিনি অবৈধ টাকা নেন না, তাই যারা বিএনপির সুনাম নষ্ট করবে,তাদের বিরুদ্ধে তিনি একাই ব্যবস্থা নিবেন।
বলেছেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, যে কারনে আওয়ামী লীগকে বিতারিত হতে হয়েছে, একই ভুল যাতে আমরা না করি। ভুল করলে আমাদের অবস্থা আওয়ামী লীগের মত হবে। এমন অবস্থা থেকে বিএনপিকে রক্ষা করতে হবে। পেলাম না, খাইলাম না, ওই চিন্তা দুর করতে হবে। রোববার বিকালে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ডাকবাংলো চত্বরে দলীয় নেতাকর্মীর বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখার সময় এ সব কথা বলেন মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন।
এ সময় স্থানীয় পর্যায়ে, চরাঞ্চলে দলীয় নেতাকর্মীর চাঁদাবাজি, সাধারন মানুষকে হয়রানী করা হচ্ছে, উল্লেখ করে দলের বর্ষিয়ান এই নেতা বলেন, এই সব বন্ধ না হলে, আপনাদেরও আবার বিতাড়িত হতে হবে।
আমি ৬ বার এমপি । দুই বার মন্ত্রী ছিলাম। কোন অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করি নি, করবোও না। এমপি মন্ত্রী না হলেও দুঃখ থাকবে না। আমি আমার মত চলবো। আমার কাছে অনেক অভিযোগ আসছে। আমাদের দলের অনেকে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। এটা বন্ধ করতে হবে। এ সময় উপস্থিত কয়েক হাজার সাধারন কর্মী ও সমর্থকরা স্বাগত জানান, শ্লোগান দেন। চাঁদাবাজির আস্তানা থাকবে না থাকবে না।'' অভিযোগ ওঠে উপজেলার চরমুজাম্মেলসহ কয়েকটি চরের কৃষকের ধান কেটে নিয়ে গেছে, দলের নাম ভাঙিয়ে চিহ্নিত বাহিনী। সাধারন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। ওই সব ব্যক্তি ও নেতাদের সতর্ক করে বলেন, কেউ চাঁদা চাইলে তাকে ( মেজর অবঃ হাফিজকে) প্রমানসহ জানাতে।
অনেকে বলেন, দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। তাই আমাদেরকেও সাবধানে থাকতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের দাবি দ্রুত সময়ে নির্বাচন করার। এ জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক স়ভাপতি মোস্তফাফিজুর রহমান, সাবেক সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সম্পাদকরা।