আন্তজার্তিক

ভারত প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় বঙ্গোপসাগর দ্বীপে সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে

  প্রতিনিধি ২৯ জুলাই ২০২৫ , ৩:৫১:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

আ জা আন্তর্জাতিক ডেক্স:

ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপ থেকে দেশটি সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে নিজেদের উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’। এই ক্ষেপণাস্ত্র ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।

গত ২৮ জুলাই এবং আজ ২৯ জুলাই, পরপর দুই দিন ওড়িশা উপকূলে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের ড. এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে এই পরীক্ষা পরিচালনা করে নয়াদিল্লি।

ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে। সংস্থাটির মতে, প্রলয় একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য আধা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যুদ্ধে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানার জন্য এটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এ ক্ষেপণাস্ত্রকে সহজে প্রতিহত করতে না পারে — সে বিষয়টি মাথায় রেখেই এর নকশা ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডে-র বরাতে জানা গেছে, পরীক্ষার সময় প্রলয় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এবং পূর্বনির্ধারিত সব টেস্ট মানদণ্ড পূরণ করেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে নিজস্ব কক্ষপথ পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে, এটি শত্রুর প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রকে সহজেই ফাঁকি দিতে পারে। এতে কঠিন জ্বালানিচালিত মোটর, উন্নত নৌ-এবং বায়ু প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রলয় ৩৫০ থেকে ৭০০ কিলোগ্রাম ওজনের প্রচলিত ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এটি মূলত শত্রুর কমান্ড সেন্টার, রসদ ঘাঁটি এবং বিমান ঘাঁটির মতো কৌশলগত অবস্থানগুলোতে নিখুঁত আঘাত হানার জন্যই নির্মিত হয়েছে, বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।

আরও খবর

Sponsered content