প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২৫ , ৪:৫৫:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
আ জা ডেক্স:
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পালটা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রমে কোনো বড় ধরনের বাধার আশঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এখনো প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে।
০১ আগস্ট, শুক্রবার এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব শফিকুল আলম, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টের মাধ্যমে।
সম্প্রতি শেষ হওয়া বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনার পর হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পালটা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর আগে এই হার ছিল ৩৭ শতাংশ, যা পরে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়। সর্বশেষ আলোচনার পর তা আরও হ্রাস পেয়ে ২০ শতাংশে নামল।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা ২০ শতাংশের নিচে প্রত্যাশা করেছিলাম।
এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আজ থেকেই বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির সময় গড় ১৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে নতুন ২০ শতাংশ পালটা শুল্ক মিলিয়ে মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে আরও কয়েক ডজন দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ভারতের জন্য ২৫ শতাংশ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার জন্য ১৯ শতাংশ, শ্রীলংকা ও ভিয়েতনামের জন্য ২০ শতাংশ, মিয়ানমারের জন্য ৪০ শতাংশ, আর আফগানিস্তানের জন্য ১৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্রাজিলের ওপর আরোপিত হয়েছে ১০ শতাংশ শুল্ক।
পালটা শুল্ক নিয়ে আলোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছে। তারা টানা তিনদিন ধরে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেছে।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।