নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া :
বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায় হঠাৎ করে পশু খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখায় বেশি দামেও গরুর অন্যতম প্রধান খাবার খড় পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া অনান্য পশু-খাদ্যের দামও চড়া। কোনো উপায় না পেয়ে গবাদি পশু গরু, ছাগলের মালিকেরা কচুরিপানা, বাঁশপাতা ও লতাপাতা সংগ্রহ করে গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছেন। পশু -খাদ্যের আকাশ ছোয়া খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক ও গৃহস্থেরা তাঁদের গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
অনেকে আবার কম দামে গরু-ছাগল বিক্রি করে দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্ঠির কারণে কৃষকদের মজুত করা খড় সম্পূর্ণ নষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। উপজেলার সান্তাহার পৌর সভা ১ নং ওয়ার্ডের বশিপুর গ্রামের কৃষক ও গবাদি পশুর মালিক মো: আ: রহিম জানান, মজুদ করা পশু- খাদ্য একটানা বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নষ্ঠ হয়ে গেছে। ১ পোন (৮০টি) খড়ের দাম ৪০০ টাকা। ভুসির কেজি ৩০ টাকা, চিটাগুড়, ধানের গুড়া,খুদ, খৈলসহ সব রকম পশু -খাদ্যের দাম ও এখন বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উদ্ধোগতির কারনপ নিজেরাই ঠিক মতখেয়ে বাঁচতে পারছিনা।
এর মাঝে গরু- ছাগলকে কী খেতে দেব ? গরু-ছাগলগুলো খাবারের অভাবে রোগা হয়ে মরতে বসেছে। অনেকে পানির দামে গরু-ছাগল
বিক্রি করে দিচ্ছে। সান্তাহার পৌরসভার ইয়ার্ড কোলোনীর আব্দুল কুদ্দুস আলী বলেন দ্বিগুন দামেও পশু - খাদ্য মিলছে না। বাজার থেকে গবাদি পশুর খাদ্য কিনতে না পারায় খামারিরা কম দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া মাঝে মধ্যে এইসব গবাদি পশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা করনো ও প্রয়োজনীয় ঔষদের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৮ সেপ্টম্বর সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে গিয়ে দেখ যায় অনেক কৃষক হাটে গো-খাদ্য কিনতে এসে তা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।
যা আমদানি হয়েছিল তা চড়া দামে কেউ কেউ কিনে নিয়ে গেছে। সান্তাহার শড়রের রেলগেট চত্বরে খড় বেচা-কেনা স্থানে খড় বিক্রেতা মোমিনুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে জেলার দুপচাচিয়া থেকে খড় কিনে এনে সান্তাহারে বিক্রি করছেন। প্রতি ভ্যান খড় (চার থেকে পাঁচ পোন) ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় খড়ের দাম এবার বেশি বলে জানান তিনি। আদমদীঘি উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিরুল ইসলাম জানান।
এসব গবাদি পশুর- খাদ্যের সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, এ বিষয়ে উধর্ধতন কর্তৃ পক্ষেরকাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিনা মূল্যে গো-খাদ্য বিতরন করা হবে। দুই-এক মাসের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।