রাজনীতি

নির্বাচনের পূর্বে কয়েকজন শীর্ষ অপরাধীর বিচার সম্পন্ন করে দৃশ্যমান শাস্তি দেখতে চাই…জামায়াতের আমির

  প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২৫ , ৫:০০:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট:

নির্বাচনের পূর্বে অন্তত কয়েকজন শীর্ষ অপরাধীর বিচার সম্পন্ন করে দৃশ্যমান শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সব বিচার একসঙ্গে শেষ না হলেও সরকার ও বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে আন্তরিকতা ও কার্যকর পদক্ষেপ জনগণ দেখতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দুই-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই। এরপর এই ধারা চলমান থাকবে। যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের নৈতিক দায়িত্ব হবে বিচার চালিয়ে যাওয়া ও সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়া।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী বছরের প্রথম ভাগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত, তবে তা হওয়া উচিত প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার শুরু করার পর। তিনি মনে করেন, পুরনো পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তা জাতির জন্য আবারও হতাশা ও কষ্টের কারণ হবে।

“নির্বাচনে মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আগের তিনটি নির্বাচনে মানুষ তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি, মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।

জুলাই আন্দোলনকে ঘিরে দলটির ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড কখনো দাবি করিনি। কারণ একজন বা দুজনকে মাস্টারমাইন্ড বললে, বাকিদের আন্ডারমাইন্ড করা হবে। সব যোদ্ধারাই আমাদের মাস্টারমাইন্ড।

ক্ষমতায় গেলে শহীদ ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিদেশে কোনো বেগমপাড়া বা প্রভু নেই। প্রতিবেশী দেশ অগ্রাধিকার পেলেও যদি তারা আমাদের অধিকার হরণ করে, তাহলে ১৮ কোটি মানুষ রুখে দাঁড়াবে।

দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার জানিয়ে তিনি বলেন, তার দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে জনপ্রতিনিধিদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে এবং তা প্রতিবছর হালনাগাদ করে রাষ্ট্রের কাছে জমা দিতে হবে।

দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়। জামায়াতের হাতে দেশের একজন মানুষও অনিরাপদ থাকবে না, বলেন ডা. শফিক।

তিনি আরও বলেন, ভিক্ষা করা যদি প্রয়োজন হয়, সেটা হালাল। কিন্তু যারা সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি করে, তারা ভিক্ষুকের চেয়েও নিচু মানসিকতার।” কারও নাম না করে তিনি বলেন, যদি কেউ এসব কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকে এবং কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ হয়, তাহলে সে দায় দলীয়ভাবেও বিবেচনা করা উচিত।

শেষে তিনি ঘোষণা দেন, একটা যুদ্ধ করেছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, এবার যুদ্ধ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে বিজয়ী হবে বাংলাদেশের মানুষ।

আরও খবর

Sponsered content