প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১২:০০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসাইনকে (৪২) গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত সাড়ে চারটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার পূর্ব লালপুর (পাকিস্তান খাঁদ) এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।
নিহত মামুন হোসাইন ফতুল্লা পূর্ব লালপুর (পাকিস্তান খাঁদ) এলাকার মৃত সমন আলীর পুত্র। তিনি ইট, বালু ব্যবসায়ী ছিলেন। পরিবারের দাবি আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আক্তার ও সুমন এ হত্যাকান্ডের জন্ম দিয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই আক্তার ও সুমন নিহত মামুন কে হুমকি দিয়ে আসছিলো।
নিহত মামুনের বড় ভাই আমজাদ জানান, মামুন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলো। তাকে কে বা কারা বাসা থেকে ডেকে রেললাইন সংলগ্ন মামুনের মালিকানাধীন মা-বাবার দোয়া নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতকচক্র।
গুলির শব্দ শুনে সে বাসা থেকে বের হয়ে দেখতে পায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনেই পড়ে আছে মামুনের নিথর দেহ। পরে পরিবারের সদস্যদের সহোযোগিতায় খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
তার দাবি আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আক্তার ও সুমন বাহিনীই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। বেশ কয়েক মাস ধরেই মামুন কে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো এই চক্রটি।
তিনি জানান, আজাদ নামের এক ছেলে নিহত মামুনের অফিসের ভিতর ঘুমায়। আজাদ তাকে জানিয়েছে যে গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তাকিয়ে দেখে যে দুটি ছেলে দৌড়ে কোতালেরবাগ এলাকার দিকে চলে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, নিহতের চোখে আঘাতের চিহ্ন আছে। সেটি গুলি নাকি অন্য কিছুর আঘাত, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।