আ জা ডেক্স:
নয় বছর পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় পেল বাংলাদেশ। রোববার, ২০ জুলাই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে সফরকারী দলকে হারিয়েছে টাইগাররা
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। তার সেই সিদ্ধান্তকে একেবারে সঠিক প্রমাণ করেন টাইগার বোলাররা। শুরু থেকেই পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপকে চেপে ধরেন তারা। আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের মুখে একে একে ধসে পড়ে পাকিস্তানের উইকেট। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় বাবর আজমবিহীন পাকিস্তান দল।
পাকিস্তানের ইনিংসে একমাত্র উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন ওপেনার ফখর জামান, যিনি করেন সর্বোচ্চ ৪৪ রান। তবে ইনিংসের একেবারে শুরুতেই, মাত্র ৪ রানে থাকার সময় তিনি শেখ মেহেদীর বলে ক্যাচ তুলে দেন, যদিও সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন তাসকিন আহমেদ।
পরে খুশদিল শাহের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ফখর। ইনিংসের শেষ দিকে আব্বাস আফ্রিদি ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যার সুবাদে পাকিস্তান কোনোভাবে ১০০ রানের গণ্ডি পার করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের পেসাররা এদিন ছিলেন এক কথায় দুর্দান্ত। বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট নেন। সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ—৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট। তানজিম সাকিব ও শেখ মেহেদী একটি করে উইকেট শিকার করেন।
১১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিক দলের। ইনিংসের গোড়াতেই ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস।
তবে চাপ সামাল দেন তরুণ তাওহিদ হৃদয় ও ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। দুজনের দৃঢ় জুটি দলকে জয়ের পথে নিয়ে যায়। হৃদয় ফিরে গেলে, দায়িত্ব নেন জাকের আলী। তিনি ইমনকে সঙ্গে নিয়ে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে দেন দলকে।
এ জয়ের মাধ্যমে ৯ বছর পর পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারানোর স্বাদ পেল বাংলাদেশ, সিরিজের প্রথম ম্যাচেই তুলে নিল দারুণ এক জয়।