প্রতিনিধি ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১০:১৭:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
তিন ব্যাংকের ১৬ অ্যাকাউন্টে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ২১ কোটি টাকার সন্ধানপেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যা ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আনিসুল হকের হিসাবগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বনানী শাখার ছয়টি হিসাবে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে পাঁচ কোটি টাকা এবং অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস হিসেবে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, আনিসুল হকের গোল্ডেন ফিক্সড ডিপোজিট (হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৬) এক কোটি টাকা, হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৫, হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৩ এবং হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৪’-এর গোল্ডেন ফিক্স ডিপোজিট হিসাবে এক কোটি টাকা করে মোট তিন কোটি টাকা জমা পাওয়া গেছে।
আর ব্র্যাক ব্যাংকের বানানী শাখায় হিসাব নম্বর- ১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০১-এ এসবিএ এসিসি গোল্ডেন বেনিফিটস ৫০ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৭ টাকা, হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০১’-এর ফিক্সড ডিপোজিট প্লাসে রয়েছে ৫০ লাখ টাকা ও হিসাব নম্বর- ১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০২-এ ফিক্সড ডিপোজিট প্লাস ৫০ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
অন্য দিকে, সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নয় ব্যাংক হিসাবে মিলেছে ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। ওই টাকা নিজ ও নিকট আত্মীয়দের নামে ব্যাংকে ডিপোজিট হিসেবে পাওয়া গেছে।
ওই ব্যাংকগুলো সূত্রে জানা যায়, সিটিজেন ব্যাংকের গুলশান শাখার পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে আশেকুছ সামাদ ও জেবুন্নেছা বেগম হকের নামের নয় কোটি কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ১১২ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গেছে। যারা সম্পর্কে তার ভাই-বোন বলে জানা গেছে।
অন্য দিকে, সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নয় ব্যাংক হিসাবে মিলেছে ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। ওই টাকা নিজ ও নিকট আত্মীয়দের নামে ব্যাংকে ডিপোজিট হিসেবে পাওয়া গেছে।
ওই ব্যাংকগুলো সূত্রে জানা যায়, সিটিজেন ব্যাংকের গুলশান শাখার পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে আশেকুছ সামাদ ও জেবুন্নেছা বেগম হকের নামের নয় কোটি কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ১১২ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গেছে। যারা সম্পর্কে তার ভাই-বোন বলে জানা গেছে। অন্য দিকে, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় আনিসুল হকের তিনটি ব্যাংক হিসাবে যথাক্রমে চার কোটি ১৩ লাখ ১৩ হাজার, ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ও ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তিনটি ব্যাংকে আনিসুল হক ও তার পরিবারের নামের প্রায় ২১ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। বর্তমানে নথিপত্র সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করলে আইন অনুযায়ী কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ নিয়ে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও পাচারের অভিযোগ থাকলেও দুদক দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে না। আমাদের তথ্য ও সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। যা অংশ হিসাবে তিন ব্যাংকে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে ও ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেই আপাতত মনে হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। যার মধ্যে আনিসুল হক এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, অপর এক সহযোগী ফারহানা ফেরদৌস নামে অপর এক নারীর বিরুদ্ধে আসা পৃথক আর একটি অভিযোগও আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদকের অনুসন্ধান টিম।