বিএফআইইউর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ০৫ নভেম্বর থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যেই রাজধানীর গুলশানে সিটি ব্যাংকের একটি শাখায় মোতাল্লেছের নামে প্রায় ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা জমা হয়। হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক লেনদেন নজরে আসায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার সম্পর্কে তথ্য জানতে চায়। এরপরই শুরু হয় বিস্তারিত তদন্ত।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, মোতাল্লেছ হোসেন এবং তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৯টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে সাতটি হিসাব বিশ্লেষণ করে প্রায় ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শুধু তিন মাসেই এসব হিসাবে জমা হয়েছে ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তার আয়কর রিটার্নে দেখানো হয়েছিল সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৩৪ লাখ টাকা। এই বিশাল অঙ্কের অর্থের কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
বিএফআইইউ জানায়, খালেদা জিয়ার মতো কণ্ঠস্বর নকল করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রতারিত করে অর্থ আদায় করতেন মোতাল্লেছ ও তার সহযোগীরা। এই অভিনব কৌশলে প্রাপ্ত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হতো। তদন্ত শুরুর পর থেকেই মোতাল্লেছ পলাতক রয়েছেন।
মোতাল্লেছ হোসেন ‘অকো-টেক্স লিমিটেড’ নামের একটি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার ব্যাংক হিসাবগুলোর নমিনি হিসেবে আছেন তার চাচাতো ভাই, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান, যিনি বর্তমানে নৌ পুলিশে কর্মরত।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে মোতাল্লেছ হোসেন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিছু প্রভাবশালী আইন কর্মকর্তা এবং বিএফআইইউর কয়েকজন কর্মকর্তা আমাকে হয়রানির পেছনে জড়িত।
বিষয়টি নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।