প্রতিনিধি ২ আগস্ট ২০২৫ , ৬:০৭:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশী বাঁধার মুখে জাতীয় পার্টির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টির গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সহ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি ও মব ভায়োলেন্স বন্ধের দাবীতে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের দুপুর থেকে পুলিশ বাঁধা দিতে থাকে।
পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত সমাবেশের সভাপতি ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, ভেবেছিলাম মানুষ চাকরি পাবে, দেখছি বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা চেয়েছিলাম এই সরকার জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে কিন্তু, আমরা দেখছি এই সরকার জাতিকে বিভক্ত করেছে। দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এই সরকার। আমাদের সংগ্রাম অন্তর্ভূক্তিমূলক রাজনীতি ও নির্বাচনের সংগ্রাম। গতকাল বগুড়ায় আমাদের অফিসে হামলা হয়েছে। এছাড়া যেসব স্থানে আমাদের অফিসে হামলা এবং নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে আমরা এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। আমাদের দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমাদের অফিসগুলোতে যেভাবে আগুন দেওয়া হয়েছে তাতে প্রমাণ হয়, দেশে কোন সরকার নেই। রাষ্ট্রে চিড় ধরেছে আমরা এই রাষ্ট্র মেরামত করতে চাই। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর নেতৃত্বে আমরা নতুন উদ্যমে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সকল বাঁধা অতিক্রম করে জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে। ২০১৪ সালে অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচনের দাবীতে আমরা নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। আমাদের পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এর নেতৃত্বে ২৭০ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছিল। আমাদের পার্টি চেয়ারম্যান কাদেরও ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল। এখনো আমরা অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন চাই, যাতে দেশ ও গণতন্ত্র বাঁচতে পারে। জনগণের আকাঙ্খা পূরণের রাজনীতি করতে যদি জেলে যেতে হয় আমরা জেলে যাব। আমাদের আঘাত করলেও আমরা পিছপা হবো না।
সভাপতির বক্তৃতায় ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী আরো বলেন, জাতীয় পার্টি শান্তি চায়, জাতীয় পার্টি স্বস্তি চায়, দেশ গড়তে চায়। আমাদের এই সমাবেশটি আরো সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারতো। বিভিন্ন বিভাগে অসহযোগিতার জন্য একটু এলোমেলো হলেও আজকের কর্মসূচী সফল হয়েছে। আমাদের অধিকার এবং মানবাধিকার আদায় করতে আইন অমান্য করতে হলেও আমরা পিছপা হবো না। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিগত সরকারের আমলেও যখন গণমানুষের পক্ষে কথা বলেছেন তখন আইন দিয়ে তার কন্ঠরোধের অপচেষ্টা চলেছে। এখনো আইন দিয়ে জিএম কাদেরের কন্ঠরোধের অপচেষ্টা চলছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। দেশ ডুবে যাচ্ছে, সরকার চেয়ে চেয়ে দেখছে। ভেবেছিলাম দেশে শান্তি আসবে, এখন দেখছি দেশজুড়ে অশান্তি। এই সরকার আইনের শাসনের পরিবর্তে মব এর শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, মহসিন ইসলাম হাবুল, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক। উপস্থিত ছিলেন, নুরুন নাহার বেগম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মোঃ হেলাল উদ্দিন।