প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২৫ , ৮:১৭:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
শাহজাহান জনিঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, আমি যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মী সেই হিসেবে আমার একটি স্বীকৃতি এই দলের একটি সদস্য ফরম পূরণ করে এ দলের সদস্য হতে পারবো এটি অত্যন্ত সৌভাগ্যের, আনন্দের, মর্যাদার, গর্ভের বিষয়। আমি যে সারা জীবন রাজনীতি করবো এই রশিদটি আমার ঘরে সারা জীবন শোভা পাবে। আমার পরিবারের সদস্যরা এটি দেখবে এবং স্বীকার করবে যে আমার বাবা বা ভাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মী ছিলো।
আজকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তিনি বার বার জনগনের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনিও কিন্তু দলের একজন সদস্য। আমাদের প্রিয় অভিভাবক যার নির্দেশে আমরা গত ১৫ বছর রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি আমাদের নেতা আগামী দিনের বাংলাদেশ যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আমরা প্রত্যেক মিছিলে মিটিংয়ে বলি তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে। সেই কথার বাস্তবায়ন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। তিনিও কিন্তু এই দলের একজন সদস্য পদ গ্রহন করে এই দলের একজন কর্মী। সুতরাং কর্মী হিসেবে এই সদস্য পদ যিনিই পূরন করবেন তিনিই সম্মানিত। তিনি গর্ব করে বলবেন আমি জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মী।
গতকাল (২৯ জুন) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীবাড়ী এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি আয়োজিত সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, শরীফ আহমেদ টুটুল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপি সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল বারী ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম, অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, মহানগর ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি এড. রাকিবুর রহমান সাগর।
তিনি আরো বলেন, অনেকে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছে আবার অনেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছে। বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের ক্ষমতার চেয়ারটাকে পাকাপোক্ত রাখার জন্য এমন কোনো অত্যাচার নিপিড়ন করেনি যা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর। আর সেই নিপিড়ন নির্যাতন করতে গিয়ে আমরা আমাদের অনেক সহকর্মী ভাইদেরকে হারিয়েছি। অনেকে গুম হয়েছে, তাদেরকে এখনো আমরা খুঁজে পাই নাই। অনেকে এমন ভাবে নিহত হয়েছেন, যাকে ধরে নিয়ে এমন ভাবে নির্যাতন করেছেন তিন মাস জেল খেটে এসে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে। এটাকে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু বলবো নাকি অস্বাভাবিক মৃুত্য বলবো বুঝে উঠতে পারিনা অনেক সময়। কিন্তু দু:খ লাগে এভাবে যদি হিসেব করি আমাদের কাছ থেকে অসংখ্য নেতাকর্মী এই ভাবে রোগে-শোকে বিনাচিকিৎসায় ভোগে মৃত্যুবরণ করেছে। সুতরাং তারাও তো আমাদের সদস্য ছিলো একসময়। সদস্য পদ তারাও পূরণ করেছিলো। আজকে তাদের স্মৃতি পরিবারের লোকজন বয়ে বেড়ায় এবং সদস্য ফরম নিয়ে আমাকে দেখায় আমার বাবাও কিন্তু বিএনপির সদস্য ছিলো। তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের বিএনপির সদস্য করতে হবে। কেউ যেন বাদ না পরে।
গত ১৫ বছর যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলো, ফ্যাসিবাদের সাথে যুক্ত ছিলো, যারা আমাদের উপর জুলুম অত্যাচার করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে আমাদের বাড়িঘর পুলিশ নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছে, আমাদের উপর হামলা করেছে, আমাদের জায়গা সম্পত্তি জোর করে দখল করেছে, আমাদের ব্যবসা বানিজ্য দখল করেছে শুধুমাত্র তারা এ সদস্য ফরম পূরণ করতে পারবে না।
যদি আপনাদের কারো সহযোগিতায় ফ্যাসিবাদের কোনো দোসর সদস্য হয় তাহলে আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদেরকে কিন্তু সদস্যপদ বাতিল করে দেয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে।