মাহবুবুর রহমান ভূইয়া ডেমরা,ঢাকা:

দৌড় সালাউদ্দিন নামে খ্যাত ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহ্উদ্দিন আহমেদের বহিষ্কার চেয়ে ঝাড়ু মিছিল করে নিজেই বহিষ্কার হয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সদস্য ও ডেমরা থানা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নায়লা ইসলাম।  বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সই করা বিবৃতিতে নয়লার বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নয়লা বেগমকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। সংগঠন থেকে বহিস্কৃত হওয়ায় তার সাথে মহিলা দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে কোনো প্রকার যোগাযোগ না রাখতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহ্উদ্দিন আহমেদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবিতে রাজধানীর ডেমরায় বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করে নয়লা ইসলামের অনুসারীরা। এর আগে, ডেমরায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সদস্য ও ডেমরা থানা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নয়লা ইসলামকে দুশ্চরিত্রা আখ্যা দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলার হুমকি সালাহউদ্দিন আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখে নায়লার অনুসারীরা সালাহউদ্দিনে বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করে এবং দল থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। হুমকির শিকার নয়লা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি সালাহ্উদ্দিন যাত্রাবাড়ী এ কে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজসহ অসদাচরণ করেছেন। তার কথা না শুনলে এবং সময় মতো তার সঙ্গে দেখা না করলে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ারও হুমককি দেন তিনি। এ ছাড়াও ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রিন্সিপাল ড. নুরে আলমকেও একই সভায় সালাহ্উদ্দিন হুমকি দিয়েছেন। শ্যামপুর-কদমতলা এবং ডেমরা-যাত্রাবাড়ীর প্রতিটি কলেজ-স্কুল কমিটির কাছে টাকা দাবি করছেন সালাহউদ্দিন। এতে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, ঢালাওভাবে সভায় বক্তব্যের মাধ্যমে প্রফেসর নয়লা ইসলামকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়াসহ তাকে নানাভাবে অপমানজনক কথা বলা হয়েছে। সালাহল্উদ্দিন আহমেদ বহু নেতাকর্মীর সাথে এখনো খারাপ ব্যবহার করেন। কথার মধ্যে হুমকি ধমকি সহ নানা অপমানজনক কথা বলেন। তারপরও তাকে বহিস্কার না করে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সদস্যকে বহিষ্কার করা হলো যা মোটেই উচিত হয়নি। প্রকাশ্যে সালাহ্উদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে নারী ও শিশু অধিকার আইন ক্ষুন্ন হয়েছে। অথচ মহিলা দলের হাই কমান্ড মানবিক কোন বিবেচনা না করে উল্টো অমানবিক আচরণ করেছে বলে নেতাকর্মীরা মনে করছেন। এতে বিএনপি'র অনেক ক্ষতি হচ্ছে।